শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের শিক্ষক মাহবুবুল হকের (কৃষি শিক্ষা) বিরুদ্ধে ইভটিজিং এর অভিযোগ তুলে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে উপজেলার পরিষদের গেটের সামনে ঘন্টা ব্যাপী ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে মানববন্ধন করেছে শিক্ষাথীরা। এদিকে আশ্রয়দাতা হিসেবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমানেরও পদত্যাগের দাবি করেছে তারা। বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১টায় মহাসড়ক অবরোধ করেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসারকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা যায়, শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের শিক্ষক মাহবুবুল হক বিভিন্ন প্রকার অপকর্ম, অসদাচারন ও ছাত্রীদের ডেকে বিভিন্ন আপত্তিকর কথাবার্তা বলে। যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনকে চরম বিভ্রান্তিকর করে তুলেছে। যার ফলে কলেজে উপস্থিতির সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এসব অভিযোগ তুলে গত ২২ সেপ্টেম্বর রোববার ১৯ জন ছাত্রীর স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলার সামনে ৩০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ করেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দ্রæত বিচারের আশ^াস দিলে তারা ফিরে যান। কিন্তু তারপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না নেওয়ায় আবারও ২ অক্টোবর বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলার সামনে ঘন্টা ব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেছে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে করে রাস্তার দুই পাশে প্রায় ২ কিলোমিটার জ্যামের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম রেজাউল করিম, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম এসে তাদেরকে রাস্তা থেকে নিয়ে উপজেলা হলরুমে একটি জরুরী বৈঠক করেন। সেখানে শেরপুর টাউন ক্লাব পাবলিক লাইব্রেরী মহিলা অনার্স কলেজের সদ্য এ্যাডহক কমিটির সভাপতি কে এম মাহবুবুর রহমান হারেজের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুল হককে সাময়িক বহিস্কার করার কথা জানান। এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আশ^াস দিলে শিক্ষার্থীরা ফিরে যায়।
অবরোধকারী শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষক আমাদের পিতার সমতুল্য সেই শিক্ষক দিয়ে যদি আমরা ইভটিজিং এর স্বীকার হই তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা বিক্ষোভ ও মহাসড়ক অবরোধ করেছি। এরপর আমাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। এছাড়াও আমরা যেন আর অবরোধ করতে না আসি সেজন্য এসএমএসও দিয়েছে ওই শিক্ষক।
এ বিষয় অভিযুক্ত শিক্ষক মাহবুবুল হক জানান, আমি এমন কাজ কখোনো করিনি। এটা একটি ষড়যন্ত্র। কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে শিক্ষার্থীদেরকে উষ্কে দিচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মহাসড়ক অবরোধ ও আমার পদত্যাগ দাবি করছে এর কারণ আমি জানিনা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এসএম রেজাউল করিম আড়াঁল অনুসন্ধান লাইভ ২৪ কে জানান, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বলা হয়েছে। যদি অভিযুক্ত হয় এবং এর সাথে কেহ যুক্ত থাকে তাহলে সকলকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শান্তির ব্যবস্থা করা হবে।