কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা ঘটনায় বিষ্ফোরক দ্রব্যদি আইনে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন পৌরসভা কাউন্সিলর হায়দার আলী(৪১)। গত ২৫ আগষ্ট কাজিপুর থানায় দায়েরকৃত এজাহারে এই দুইজনসহ মোট ৫১ জনের নাম রয়েছে, এদের সকলেই উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। মামলাটি বিস্ফোরক দ্রব্যদি আইন এবং দন্ড বিধির বিভিন্ন ধারায় রুজু করা হয়েছে, নিশ্চিত করেছেন থানা কর্তৃপক্ষ।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, এজাহার দায়েরকারী হায়দার আলী(৪১) পৌর এলাকার আলমপুর গ্ৰামের মধ্যপাড়ার মৃত জেল হোসেনের পুত্র। এবং পৌর সভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। গত ১৬/৬/২০২৩ খ্রি: তারিখে সিরাজগঞ্জ সদরের সরকারি ইসলামিয়া কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত বিএনপির সমাবেশে যোগদানের উদ্দেশ্যে হায়দারসহ আরো ৩০/৩৫ জন ৭ টি সিএনজি যোগে কাজিপুর থেকে রওনা করেন। পথিমধ্যে কাজিপুর উপজেলার সিমান্তবাজারে শহীদ এম মনসুর আলী আইএইসটির সামনে পৌঁছালে বিবাদী ৫১ জন নামীয় এবং ৬০/৭০ জন অজ্ঞাতনামারা পথরোধ করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়, সিএনজি থেকে নামিয়ে রামদা, রডসহ বিভিন্ন প্রাণঘাতী অস্ত্র দিয়ে বেধরক মারপিট করে। এতে বাদির পায়ের গোড়ালির হাড় ভেঙে যায় এবং তার ১৮ সঙ্গী মারাত্মক জখম হন।
এ মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫১ জন নেতৃস্থানীয় আসামি করা হয়েছে, এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী ১ নং আসামি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান ২ নং হুকুমের আসামি হিসেবে নাম রয়েছে। ৩) রাজু তালুকদার, পিতা মোসলেম উদ্দিন তালুকদার, আলমপুর, ৪)আলী আসলাম, পিতা মৃত সাহালি, গ্ৰাম সিংড়াবাড়ি, ৫) জিয়াউল স্বাধীন (জিয়া), গ্ৰাম বেড়িপোটল ৬) শরিফুল ইসলাম কুড়ান, গ্ৰাম বেড়িপোটল, ৭) তাছির উদ্দিন তাছু, গ্ৰাম বিয়ারা, ৮) ফরিদুল ইসলাম, পিতা শুক্কুর আলী, গ্ৰাম বিয়ারা, ৯) রাজু, পিতা আব্দুর রাজ্জা, গ্ৰাম গান্ধাইল, ১০) পারভেজ, গ্ৰাম পূর্বখুকশিয়া, ১১) রাজু পিতা সোহরাব ব্যাপারি, গান্ধাইল দক্ষিণ পাড়া, ১২) আবুল কালাম আজাদ, পিতা মৃত ইসাহাক আলি গ্রাম গান্ধাইল, ১৩) আসাদ, পিতা মৃত জয়নাল আবেদীন গ্রাম গান্ধাইল, ১৪) আবু সায়েম তালুকদার, পিতা আঃ লতিফ মিস্ত্রী, গ্ৰাম চালিতাডাঙ্গা, ১৫) বিপ্লব সরকার, পিতা ঠান্ডু সরকার, গ্ৰাম নতুন মেঘাই, ১৬) বেলায়েত উল ইসলাম শাওন, পিতা নজরুল ইসলাম, গ্ৰাম বেড়িপোটল, ১৭) এরশাদ, পিতা সাত্তার গুলগুলি, গ্রাম আলমপুর পূর্ব পাড়া, ১৮) রবি মিয়া, পিতা দুদু মিয়া, গ্ৰাম মিয়ারা, ১৯ ) রুবেল তালুকদার, পিতা রেনু তালুকদার, আলমপুর, ২০) খোরশেদ আলম খুশু, পিতা মৃত শাজাহান আলী, গ্রাম ঘাঁটি শুভগাছা, ২১) আলমগীর, পিতা আব্দুল খালেক, পলাশবাড়ী, ২২) নয়ন মিয়া, পিতা মোযাহার আলী, গ্ৰাম বুরুঙী, ২৩) নূর মোহাম্মদ নাঈম, বেড়িপোটল, ২৪) এনামুল, পিতা আব্দুল কাদের, আলমপুর পশ্চিমপাড়া, ২৫) বাপ্পি তালুকদার, গ্রাম বেড়িপোটল পাঁচানিপাড়া, ২৬) আমিনুল ইসলাম, পিতা মৃত মোকলেছুর রহমান, গ্রাম মিয়ারা, ২৭) রাফি তালুকদার, পিতা হিরো তালুকদার, ২৮) আসাদুজ্জামান মজনু, পিতা হুজুর আকন্দ, গ্রাম আলমপুর মধ্যপাড়া, ২৯) ইমরান হাসান রানা পিতা মুক্তা, গ্রাম আলমপুর মধ্যপাড়া, ৩০) রাশেদ মিয়া, পিতা শফি মিস্ত্রি, গ্রাম বেড়িপোটল, ৩১) ফিরোজ, পিতা মোখলেছুর রহমান, গ্রাম বেড়িপোটল চরপাড়া, ৩২) মতিয়ার রহমান মতি, পিতা ইসহাক সরকার, গ্ৰাম মেঘাই, ৩৩) মুকিত তালুকদার, পিতা শুক্কুর তালুকদার গ্রাম মানিকপটল, ৩৪) আলহাজ, পিতা সোবহান মাষ্টার, গ্ৰাম সিংরাবাড়ি, ৩৫) জুয়েল হকার, পিতা হামিদ, গ্ৰাম রেহাই বেতগাড়ি, ৩৬) আব্দুর রহিম, পিতা আফজাল সরকার , গ্ৰাম রেহাইশুরিবেড়, ৩৭) প্রান পিতা মৃত ইসহাক আলী, উত্তরতেকানি, ৩৮) নয়ন সরকার, পিতা বুদ্ধু মিয়া,শুভগাছা, ৩৯) তানসেন, পিতা নুহু ডাক্তার , শুভগাছা, ৪০) রনি মিয়া, পিতা ফরিদ টোট, বেড়িপোটল, ৪১) তোতামিয়া, পিতা মৃত যশমত, গ্রাম শুভগাছা, ৪২) মোনারুল ইসলাম, পিতা আল মাহমুদ, গ্রাম বয়রাবাড়ি, ৪৩) মুন্না, পিতা নাসির উদ্দিন, গ্রাম গান্ধাইল উত্তরপাড়া, ৪৪) জুয়েল, পিতা জহুরুল, গান্ধাইল, ৪৫) বেল্লাল হোসেন, পিতা আমির হোসেন, গ্রাম বড়ইতলা, ৪৬) আমিনুল হক, পিতা মৃত দেলোয়ার হোসেন, গান্ধাইল, ৪৭) টিপু, পিতা মোজাম্মেল হক, আমনমেহার, ৪৮) মাশুল মেম্বার, শুভগাছা, ৪৯) শওকত আলী, গ্রাম ঊদগাড়ি, ৫০) ফারুক, পিতা আব্দুর রহমান, গ্রাম কাচিহারা, উল্লেখিত সকলে কাজিপুর থানায় বাসিন্দা, ৫১ নম্বরে রয়েছেন আলী মেম্বার, গ্ৰাম কুড়ালিয়া, সিরাজগঞ্জ সদর। কাজিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান, বাদির লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে ১৯০৮ সালের বিষ্ফোরক দ্রব্যদি আইন এবং দন্ড বিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে এই মামলায় কেউ গ্ৰেফতার নেই। উল্লেখ্য, বিবাদী সকলেই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন।